ডেস্ক রিপোর্ট ::
কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। জন্মস্থান চট্টগ্রামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বাদ আসর ৪টা ৩৭ মিনিটে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে তার তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।
নামাজের জানাজায় ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন আইয়ুব বাচ্চুর বাবা মোহাম্মদ ইছহাক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম, নগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু।
জানাজা শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদের নিয়ে যাওয়া হয় নগরের বাইশমহল্লা চৈতন্যগলি কবরস্থানে। সেখানে তার মায়ের কবরের পাশে এই গুণী শিল্পীকে দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ রাখা হয় নানার বাড়ি পূর্ব মাদারবাড়ির বালুর মাঠে। সেখান থেকে তার কফিন সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গনে। আসরের নামাজ শেষে আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় হাজারও মানুষ অংশ নেন। আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। মাঠ ছাড়িয়ে পাশের সড়কেও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ছাদে জড়ো হয় নারী ও শিশুরা।
এদিকে জানাজার আগে প্রিয় শিল্পীকে একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমাতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে হাতে ফুলসহ নানা প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়। অনেকে প্রিয় শিল্পীর নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেয়া হয় তার গানের স্টুডিও মগবাজারে ‘এবি কিচেনে’। সেখান থেকে তার মরদেহ নেয়া হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠকের মতামত